৯০ লাখ বিল পরিশোধ জিপে’র মাধ্যমে
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
গ্রামীণফোনের ডিজিটাল ওয়ালেট প্ল্যাটফর্ম জিপে’র মাধ্যমে গত বছর ৯০ লাখের বেশি বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মোবাইল টেলিফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোন জানিয়েছে, ২০১৮ সালে জিপে’র মাধ্যমে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।উপকৃত হয়েছে প্রায় কোটি পরিবার।
ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ট্রেনের টিকেট কাঁটা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা জিপি আউটলেট থেকে ওয়ালেট রিফিল করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা জিপে শুরু হয় ২০০৯ সালে।
দেশজুড়ে ২৮টি ইউলিটি প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জিপে সরকার এবং ইউলিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল সংক্রান্ত প্রক্রিয়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, “নাগরিকদের মূল্যবান সময় ও খরচ বাঁচিয়ে সামাজিকভাবে বিশেষ ভূমিকা রাখছে জিপে। এই সেবা ইউলিটি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহজে বিল সংগ্রহ করে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় ত্রুটি একদমই কমানোর পাশাপাশি সিস্টেম লস কমিয়ে জাতীয় রাজস্ব সংগ্রহে ভূমিকা রাখছে।”
“গ্রাহকরা যে বিল পরিশোধে ডিজিটাল ব্যবস্থা পছন্দ করছেন এবং অভ্যস্ততা তৈরি হচ্ছে তার একটি অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে গ্রামীণফোন।এটা বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিয়ে নির্দেশনা ও লক্ষ্যের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। আমাদের বিশ্বাস, এ সেবার আরও বিস্তৃতি মানুষের জীবনকে আরও অনেক সহজ করে তুলবে।”
“প্রিপেইড মিটার উন্মোচনের পর মিটার রিচার্জের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ঝামেলা কমাতে আমরা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছি।”
জিপে সেবা পেতে গ্রাহকরা তাদের কাছের মোবিক্যাশ রিটেইল আউটলেট কিংবা নির্দিষ্ট জিপে পার্টনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে জিপি ওয়ালেটে টাকা ঢুকাতে পারেন।
সব ভিসা ও মাস্টারকার্ডের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, ডিবিবিএল রকেট মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, এবি ব্যাংক কোর ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট অথবা ইসলামি ব্যাংক এমক্যাশ অ্যাকাউন্ট অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এটা করা যাবে।
এছাড়া জিপে গ্রাহকরা যে কোনো গ্রামীণফোন সেন্টার থেকেও ওয়ালেট রিফিল করতে পারবেন।